• Mon. Dec 23rd, 2024

Hridoye Bangladesh

আপনার বাংলা সংবাদ

সীমান্ত হত্যা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে লন্ডনে বিক্ষোভ

ByAbdullah Mamun

Apr 24, 2024

সীমান্ত হত্যা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে ২২ শে এপ্রিল সোমবার ইংল্যান্ডে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস এর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মানবাধিকার সংস্থা গ্লোবাল বাংলাদেশীজ এলায়েন্স ফর হিউমান রাইটস। সংগঠনটি লন্ডনে কমিউনিটি ভিত্তিক ২১ টি মানবাধিকার সংগঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম। 

বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ব্যবসায়ী আদানির মুখোশ সম্বলিত প্রতিকৃতিতে জুতার মালা পরিয়ে বিক্ষোভকারীরা তাদের তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

সোমবার দুপুর ১২ টা থেকেই সেন্ট্রাল লন্ডনের টেম্পল এলাকায় ইনডিয়ান হাউজের সামনে পুরো অল্ডউইচ এলাকা জুড়ে বাংলাদেশীদের জমায়েত শুরু হয়। বেলা ২ টায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীদের বিক্ষোভে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন জিবিএএইচআর আহবায়ক সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন।


লেখক ও কালামিষ্ট রাকেশ রহমান ও সিনিয়র ফেলো রুপম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে যে সাহায্য করেছে তাতে আজকের ভারত হটাও আন্দোলন অভাবনীয়। কিন্তু ভারত তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে যে ব্যবহার করে আসছে তাতে ধারনা পরিষ্কার হয়ে যায়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে যে ভাবে ভারত সাহায্য করে আসছে দিনের পরে দিন, তাতে কোন দেশের জনগনের পক্ষেই ভারতকে সম্মানের জায়গায় বসিয়ে রাখা সম্ভব নয় । 
এই স্বাধীনতা দিবসেও ভারত আমাদের দিয়েছে ২ জনের লাশ ।


সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,মানবাধিকার ব্যাক্তিত্ব পিনাকী ভট্টাচার্য।  ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি বলেন,
ভারতবিরোধী এই কর্মসুচি ধারাবাহিক থাকবে এবং ভারত যদি সত্যিকারের বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তাহলে অতি সত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিরপেক্ষতার উদাহরন দেখাতে হবে। না হয় আমাদের আন্দোলন শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয়, বাংলাদেশ থেকে সকল ভারতীয় স্বার্থ  উচ্ছেদ করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শামসুল আলম লিটন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এর দায় সম্পূর্ণ ভাবে নরেন্দ্র মোদী আর বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহন করতে হবে।  

বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র ফেলো ও সিনিয়র ড্যাটা ইন্জিনিয়ার রুপম রাজ্জাক, ব্যারিষ্টার জাকির হাসান, টিভি সাংবাদিক শেখ মুহিতুল রহমান বাবলু, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই এর মুসলিম খান, ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনালের বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা নেত্রী অন্জনা আলম , তাসলিমা তাজ, জাহানারা আক্তার শিমলা, মানবাধিকার সঙগঠন আমারআই’র সম্পাদক নওশিন মুস্তারি মিয়া, এ্যাডভোকেট সুফিয়া পারভীন, সাংবাদিক মিনহাজুল আলম মামুন, তোবারক হোসেন, মিশুক হোসেন ,হাসনাত আরিয়ান খান প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *